নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম:  করোনা মোকাবেলায় সারা দেশে লকডাউন জারি করেছে সরকার। লক ডাউনে যাত্রীবাহি বাস বন্ধ থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু অসাধূ প্রাইভেটকার মালিক ও ছিনতাইকারীরা মিলে মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় পৌচ্ছে দিবে বলে প্রাইভেটকারে যাত্রী পরিবহন করেছে। এ সুযোগে ছিনতাইকারী প্রতারক চক্র কয়েকজন মিলে প্রাইভেটকারে যাত্রী তুলে রাস্তায় গাড়ীর ভেতর যাত্রীকে মারধর, হত্যা ও অচেতন করে তার কাছ থেকে সবকিছু নিছিয়ে নিয়ে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। এতে অনেক যাত্রী না বুঝে মৃত্যুর মুখে ধাবিত হয়। সেজন্য ঈদে বাড়ি যাওয়ার নামে যাত্রীবাহি প্রাইভেটকারে উঠার আগে সাবধান ও নিশ্চিত হয়ে উঠার জন্য সোনারগাঁ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্তকতামুলক বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, 

প্রিয় সোনারগাঁবাসি,
আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে আসন্ন ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।
ঈদ-উল-ফিতর খুব সন্নিকটে তাই আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত বেড়ে গিয়েছে। আমরা রাস্তাঘাটে যাতায়াতের সময় প্রায়ই বড় ধরনের ভুল করি যেমন প্রাইভেটকারে চড়ে দ্রুত এবং স্বাচ্ছন্দে গন্তব্যে পৌঁছাতে চাই।
অপরিচিত প্রাইভেটকারে ওঠার সময় দেখবেন আগে থেকেই ২/৩ জন যাত্রী প্রাইভেটকারে ছিল অথবা ফাঁকা প্রাইভেটকারে উঠলেও আপনি ওঠার পরে আরো ২/৩ জন যাত্রী ওই গাড়িতে উঠে আপনার পাশে বসবে।আপনি ব্যতীত প্রাইভেট কারের অন্যান্য যাত্রীরা কোন সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসী অথবা ডাকাতদলের সদস্য। যাত্রা শুরুর কিছু সময় পর সুবিধাজনক নির্জন জায়গায় ডাকাতরা আপনার গলায় ছুরি দিয়ে গুরুতর আঘাত করে অথবা আপনাকে হত্যা করে টাকা-পয়সা নিয়ে যাবে। তারপর আপনাকে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে যাবে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত দীর্ঘ হাইওয়ে রাস্তায় পুলিশ সদস্যরা রাতদিন চব্বিশ ঘন্টা পরিশ্রম করেলেও অনেক ক্ষেত্রেই শতভাগ সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয় না। আপনাদের উচিত যাতায়াতের পথে অপরিচিত প্রাইভেটকারে শেয়ারে যাতায়াত বন্ধ করা। একটু কষ্ট হলেও ভেঙে ভেঙে অন্য কোন যানবাহনে অথবা লোকাল বাসে চলাফেরা করুন।
আপনাদের একটু সচেতনতাই পারে আপনাদের মূল্যবান জীবন এবং সম্পদ রক্ষা করতে।
মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান,অফিসার ইনচার্জ ,সোনারগাঁ থানা, নারায়ণগঞ্জ।